আদালত অবমাননার দায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। এদিন তাঁর শাস্তি নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদালত তাঁকে দুই দিন সময় দিয়েছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য। প্রশান্ত ভূষণ জানান তিনি না ভেবে চিন্তে টুইট করেননি, তবে আদালতের যে পরামর্শ সেটি তিনি ভেবে দেখবেন।
এদিন বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বেঞ্চকে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল বলেন যে প্রশান্ত ভূষণকে কোনও শাস্তি দেবেন না। আদালত বলে যে বেনুগোপালের কথা তারা মানতে পারবেন না, যদি না প্রশান্ত ভূষণের তাঁর অপমানজনক টুইটের জন্য ক্ষমা চাইতে রাজি না হন। প্রশান্ত ভূষণ যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে বলে জানায় আদালত। যদি প্রশান্ত ভূষণ নিজের ভুল বুঝতে পারেন, তাহলে তারা কঠোর হবেন না, বলেন বিচারপতিরা। ২৪ তারিখ ফের এই মামলার শুনানি হবে।
প্রথমেই প্রশান্ত ভূষণের আবেদন যে অন্য বেঞ্চের শোনা উচিত কী শাস্তি হবে, সেটি খারিজ করে আদালত। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে যে রিভিউ করেছেন ভূষণ, সেটির শুনানি না হওয়া অবধি যে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে, সেই নিয়ে ভূষণকে আশ্বাস দেওয়া হয়।
এদিন অনেকবার করে ভূষণের আইনজীবী এই আপিল করলেও সেটা মানেনি আদালত। আত্মপক্ষ সমর্থনে ভূষণ বলেন যে তাঁকে ভুল বোঝা হচ্ছে। তাঁকে অবমাননা পিটিশনের কপিও দেওয়া হয়নি বলে তিনি জানান। ভূষণ বলেন যে তাঁর টুইটগুলি ছিল তাঁর বিশ্বাসের জায়গা থেকে। তিনি বলেন গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য সমালোচনা খুব জরুরি যাতে সংবিধান অক্ষুণ্ণ থাকে। তিনি বলেন যে তাঁর যেটা সবচেয়ে বড় দায়িত্ব, সেটা টুইটের মাধ্যমে তিনি করেছেন।
ভূষণ বলেন যে তিনি ক্ষমা চাইছেন না, কোনও অনুনয় করছেন না, যা আদালত নির্দেশ দেবে, তিনি সেটা মেনে নেবেন।
ভূষণ বলেন যে তিনি ক্ষমা চাইছেন না